বিশেষ প্রতিনিধি
সিলেট,নোয়াখালীসহ সারাদেশের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এভার অভিযোগ উঠেছে এক শিবির নেতার বিরূদ্ধে তারই এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নেয়ার অপহরণ উদ্দেশ্য।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় ফেনী দাগনভূঞার মোমারিজপুর গ্রামের মোশারফ হোসেন(২৫) পেশায় একজন শিক্ষক। বিভিন্ন জায়গায় প্রাইভেট টিউশনির পাশাপাশি দাগনভূঞা একাডেমিতে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।এলাকার অনেককেই প্রাইভেট পড়াতেন সে সুবাদে একই এলাকার আবদুল হক মিয়ার নতুন বাড়ির মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে পড়াতেন।বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিতেন কিন্তু রাজি না হওয়ায় গত মঙ্গলবার বাড়িতে এসে ধর্ষণের চেষ্টা চালান কিন্তু ব্যর্থ হয়ে পরে জোরপূর্বক অপহরণের উদ্দেশ্যে তাকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরিবার,বাড়ি এবং এলাকাবাসী তাকে হাতে নাতে ধরে গণপিটুনি দেয়। সম্পর্ক ভালো থাকায় এবং মান সম্মানের ভয়ে উক্ত মেয়ের চাচা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয় এবং স্ট্যাম্পে সাইন নিয়ে ছেড়ে দেয়।এ ঘটনায় পুলিশ আসলেও ভুল ঠিকানা দেয়ায় তারা আবার ফিরে যায়।
তবে ভুক্তভোগীর পরিবার সম্মানের ভয়ে অভিযুক্ত মোশারফ এর নামে মামলা করে নি।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি ঘটনাটি তাৎক্ষণিক শুনিনি,পরে জানতে পারি তাদের উভয় পরিবার তাদের ঘটনাটি নিজেদের ধামাচাপা দেয়ার জন্য বেকেরবাজারের একটি দোকানে বসে গোপণে বৈঠক করে,তবে এটি তাৎক্ষণিক জানতে পারলে অবশ্যই দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আনতাম।
এ ব্যাপারে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম সিকদার বলেন,এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ পাই নি,পেলে ব্যবস্থা নিবো।
শিবির নেতা অভিযুক্ত মোশারফ এর বিরূদ্ধে অভিযোগের পাল্লা ভারি।নিজ মা বোনের গায়ে হাত তোলা,ছাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ,উত্যক্ত করা,এমনকি প্রতারণা করে সম্প্রতি একই এলাকার প্রায় ৭ ভরি স্বর্ণ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন পরে অবশ্য সেটির জরিমানা দেন।তবে ভয়ে এবং নিজেদের মান সম্মানের কথা চিন্তা করে মোশারফ এর বিরূদ্ধে কেউ মুখ খুলেনি এ পর্যন্ত এত অভিযোগের পরেও।
উল্লেখ্য মোশারফ এর আগে এসব অপকর্মের জন্য জেল খেটেছেন এবং শিবির থেকেও সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন।তবে শিবিরে থাকা নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া অনেকেই সক্রিয় আছে বললেও অনেকে বলছেন বহিষ্কৃত।তবে দল থেকে তার অবস্থান পরিষ্কার করা হয় নি।
এমন একজন লম্পট এবং দুশ্চরিত্রের লোক দাগনভূঞা একাডেমির মত স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিভাবে শিক্ষকতা করে সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার সচেতন সমাজ!!
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.